বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৫, ০৪:৫২:১৯

৪১ বছর পর জামায়াতের প্রস্তাবেই ঐকমত্য হলো সবাই: শিশির মনির

৪১ বছর পর জামায়াতের প্রস্তাবেই ঐকমত্য হলো সবাই: শিশির মনির

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : জামায়াতে ইসলামীর আইনজীবী মোহাম্মাদ শিশির মনির বলেছেন ৪১ বছর পর জামায়াতের প্রস্তাবেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে ঐকমত্য হলো সবাই। 

বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) আপিল বিভাগ সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল করে রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন এই আইনজীবী।  

শিশির মনির বলেন, ‘তার কার্যকারিতা থাকবে প্রস্পেক্টিভলি অর্থাৎ চতুর্দশ সংসদের যে নির্বাচন হবে সেই সময় থেকে। আর এ ব্যাপারে আমাদের কথা হলো ১৯৮৪ সালের পর আজ থেকে ৪১ বছর আগে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রথম চাপ দেওয়া হয়েছিল। এই জাতি অনেক পানি ঘোলা করেছে, অনেক অসম্মান হয়েছে, অনেক মানুষের জীবন গেছে।’

‘গুম, খুন, নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে। ৪১ বছর পরে সকলে মিলে আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে। আমরা বলেছিলাম ডেমোক্রেসি ফ্রি-ফেয়ার নির্বাচন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা হল ইনসেপারেবল টুইং। একটা থেকে আরেকটাকে আলাদা করা যাবে না। একটা পিলার ছাড়া যেরকম ঘর দাঁড়িয়ে থাকা যায় না। কেয়ারটেকার গভার্মেন্ট হলো এ রকম একটা পিলার।’ বলেন শিশির মনির 

সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী বলেন, ‘এটিকে সরিয়ে ফেললে অবাদ নির্বাচন সম্ভব নয়। অবাধ নির্বাচন না হলে ডেমোক্রেসিও সম্ভব নয়। আজকে ৪১ বছর পরে যে যাই বলুন না কেন, যে যতটুকুই ক্রেডিট নিতে চান না কেন। মূলত রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের এই অদূরদর্শী আচরণের ফলেই জাতিকে খেসারত দিতে হয়েছে।’

শিশির বলেন, ‘এটা কনসিকুয়েন্স আকারে আমরা আদালতের সামনে তুলে ধরেছিলাম। আমরা মনে করি নির্বাচনের ক্ষেত্রে জয় এবং পরাজয় মেনে নেওয়ার মেন্টালিটি অর্জন করতে হবে। নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে জনগণের ভোটাধিকার স্বাধীনভাবে প্রয়োগ করবে। এই ক্ষেত্রে ইফ বাট কিন্তু যোগ করার কোনো সুযোগ কোনো রাজনৈতিক দলেরই নেওয়া উচিত নয়।‘

‘আমরা এটাও মনে করি আমরা যখন এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার চেয়েছিলাম আমরা ব্যক্তিগত কোনো স্বার্থে, কোনো দলীয় স্বার্থের জন্য চাইনি। আমরা চেয়েছিলাম ডেমোক্রেসি বাংলাদেশে এস্টাবলিশ হোক। বাংলাদেশি সিস্টেমটা কনস্টিটিউশনালিটিটা আস্তে আস্তে গভীর ভিত্তির উপর দাঁড়া। মাঝখানে অনেক মিস্যাপ হয়েছে। অনেক অসুবিধা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত এখানে আমরা আসলাম ফিরে। পরবর্তী দায়িত্ব হবে সকলে মিলে ডেমোক্রেটিক এনভাইরনমেন্ট ইন দা সোসাইটি। ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন অ্যান্ড ক্রেডিবল ইলেকশন ব্যবস্থাকে সকলে মিলে শক্তিশালী করা।‘ 

এই আইনজীবী বলেন, এখানে দলগত বিষয় নয়, জামায়াত কিংবা বিএনপি বা অন্য দলের বিষয় নয়, রাষ্ট্রের বিষয়। বিষয় কান্ট্রি লরান ই ডেমোক্রেটিক অটমোসফিয়ার ইন নিয়ার ফিউচার এবং সেখানে ফ্রি ফেয়ার ইলেকশনই হবে রাষ্ট্র চাড়ানোর মূলমন্ত্র। আমাদের পক্ষ থেকে এতটুকুই আমাদের পঞ্চ সংশোধনী এখনো চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি সেক্ষেত্রে একটা কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট হবে কিনা পঞ্চদ সংশোধনী তো এখন পেন্ডিং আছে এখন এখানে ফিরতে ফিরতেছে সেক্ষেত্রে কোনরকম ক্ল্যাশ হবে কিনা একটা তো আছেই কার পঞ্চদ সংশোধনীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে এমেন্ডমেন্ট আনা হয়। এই এমেন্ডমেন্টটাকে আমাদের হাইকোর্ট ডিভিশন বাতিল ঘোষণা করেছেন।

শিশির মনির বলেন, আংশিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সংক্রান্ত পোরাটাকেই বাতিল করেছে। তার বিরুদ্ধে আপিল দায়ের হয়েছে। লিভ হয়েছে। এই লিভ শুনানির জন্য পেন্ডিং আছে। সাবজেক্ট টু কি ডিসিশন সেখানে হবে এটার জন্য অপেক্ষা করার সময় দরকার বলে আমি মনে করি। তা না হলে একটা জিনিস পরিপূর্ণভাবে সেটেল হবে না। একটা বিতর্ক থেকেই যাবে। সেজন্য ইনি এন্টায়ারিটি শেষ করতে পারলে ভালো হতো। আশা করি ওইটাও দ্রুত নিষ্পত্তি হবে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে